আমি চাই বাচ্চারা বেড়ে উঠুক আনন্দ নিয়ে। পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ হোক তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিকাশ মাধ্যম। যে শিক্ষা আনন্দের না সেটা দিনশেষে জীবনের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষ হবার পরিবর্তে সবাইকে পরিকল্পনা করতে হয় কোন বিষয়ে পড়লে অর্থের মানদণ্ডে ক্যারিয়ার উজ্জ্বল ও জীবনযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে। এমন শিক্ষাব্যবস্থা কারও জন্যই কোনো মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।
প্রীতি ওয়ারেসার বক্তব্যের রেশ ধরেই বলা যায়- অভিভাবকদের সচেতনতাও অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। অভিভাবক যদি উপেক্ষা করতে পারেন চটকদার রেজাল্টের প্রলোভন,সন্তানের প্রথম হওয়ার একরোখা আকাঙ্ক্ষা ও মানুষ হওয়া মানে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়া- এই দৃঢ়মূল মনোভাব তাহলে আপনা থেকেই আমাদের ঘাড় আঁকড়ে থাকা সিন্দাবাদের বুড়ো আলগা হয়ে যাবে। আমরা শিশুদেরকে দিতে পারব একটা নির্ভার শৈশব।
এমএসএ